দৈনিক কালবেলার ব্যুরো প্রধান ও বরিশাল প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আরিফিন তুষারের মৃত্যুতে শোক সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে তাঁর স্মৃতিচারণ করতে গিয়া আবেগাপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও সহকর্মিরা।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ক্লাবের হলরুমে এ শোক সভা আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম খসরু। এসময় আরিফিন তুষারের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও তার সহকর্মিরা।
তারা বলেন, জন্মের পর মৃত্যূ অনিবার্জ এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কিছু মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। আরিফিন তুষারের মৃত্যুটিও আমাদের সেইভাবে ব্যাথিত করেছে।
তুষার আমাদের স্মৃতির পাতায় আবদ্ধ হয়ে আছে। হৃদয়ের পাতায় থাকবে। তবে হৃদয় বিদির্ন হয় তখন, যখন তুষারের দেড় বছরের ছোট্ট ছেলের মুখের দিকে তাকাই, যখন তুষারের অল্প বয়সী স্ত্রীর দিকে তাকাই।
তারা বলেন, তুষার আমাদের মাঝ থেকে চলে গেছে। আমরা যেনো ওর ছেলেটিকে ভুলে না যাই, পরিবারটিকে যাতে ভুলে না যাই। যে যার অবস্থান থেকে পাশে থাকবেন। আমরা চাই তুষারের স্ত্রী এবং সন্তনকে হৃদয়ে আকড়ে রাখতে। আমরা একটু চেষ্টা করলে ওর পরিবারটা ভালো থাকবে।
প্রেসক্লাব সদস্য বেলায়েত বাবলুর সঞ্চালনায় শোক সভায় বক্তব্য রাখেন- আরিফিন তুষারের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন ভূঁইয়া, বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ, মেহেরুননেছা বেগম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চুন্নু, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী আল মামুন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক পুলক চ্যাটার্জ, কার্যনির্বাহী সদস্য কমল সেনগুপ্ত, কোষাধ্যক্ষ সুখেন্দু এদবর, সদস্য অ্যাডভোকেট শাহ আলম, বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হীরা প্রমুখ।
এর আগে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শোক সভা শুরু হয়। পরে আরিফিন তুষারের সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সবশেষ তুষারের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন বরিশাল বাইতুল মোকাররম মসজিদের ইমান মাওলানা মিজানুর রহমান।